27 মে, 2025
উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, যা ≥140/90 mmHg হিসাবে সংজ্ঞায়িত। এই রোগটি একটি বিপজ্জনক "নীরব হুমকি" কারণ রোগীদের কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। তবে, সঠিক চিকিৎসা ছাড়া, গুরুতর এবং জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে এমন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
হাইপারটেনশন একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা নিরাময় করা যায় না। রক্তচাপ কমানোর ওষুধ রক্তচাপকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, জটিলতার ঝুঁকি কমায়। রোগীদের উচিত:
চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ধারাবাহিকভাবে ঔষধ গ্রহণ করা।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ওষুধের মাত্রা বন্ধ করবেন না, বাড়াবেন না বা কমাবেন না।
কিছু রোগী, দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ ব্যবহারের পর কোনো উপসর্গ না থাকায়, ভুলবশত মনে করতে পারেন যে তারা সুস্থ হয়ে গেছেন এবং ঔষধ গ্রহণ বন্ধ করে দেন। এর ফলে রক্তচাপ আবার বেড়ে যেতে পারে, যা জটিলতার কারণ হতে পারে।
স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা অবরোধ, যা পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে।
করোনারি আর্টারি ডিজিজ: হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হওয়া, যা হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন ঘটায়।
হৃদপিণ্ডের বৃদ্ধি: হৃদপিণ্ডের পেশীর অস্বাভাবিক পুরুত্ব।
হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া (Heart Failure): ক্লান্তি, শুয়ে থাকতে না পারা, ফোলা।
অ্যাওর্টিক অ্যানিউরিজম: বুক বা পেটে অ্যাওর্টার দুর্বলতা এবং ফেটে যাওয়া, যা আকস্মিক মৃত্যু ঘটাতে পারে।
কিডনির ক্ষতি: কিডনির অবনতি বা অকার্যকরতা।
রেটিনাল ক্ষতি: রেটিনায় রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাতের কারণে ঝাপসা দৃষ্টি।
যদি চিকিৎসা না করা হয় বা খারাপভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, হাইপারটেনশন গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করে। রোগীদের অবশ্যই:
নির্দেশিত হিসাবে রক্তচাপের ঔষধ গ্রহণ করা।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনা:
লবণাক্ত এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার কমানো।
নিয়মিত ব্যায়াম করা।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা।
চলমান পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
অনিয়ন্ত্রিত হাইপারটেনশন জীবন-হুমকি। ধারাবাহিক চিকিৎসা জীবন বাঁচায়!