27 মে, 2025
ম্যালিগন্যান্ট হাইপারথার্মিয়া (MH) কী?
ম্যালিগন্যান্ট হাইপারথার্মিয়া (MH) হল একটি প্রাণঘাতী হাইপারথার্মিক সংকট যা কিছু নির্দিষ্ট অ্যানেস্থেটিক এজেন্টের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে। এটি একটি জেনেটিক মিউটেশন (অটোসোমাল ডোমিন্যান্ট ইনহেরিটেন্স বা স্বতঃস্ফূর্ত মিউটেশন) থেকে উদ্ভূত হয় যা পেশী কোষগুলিতে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণকে ব্যাহত করে। অ্যানেস্থেসিয়ার সময় সাক্সিনাইলকোলিন, আইসোফ্লুরেন, বা ডেসফ্লুরেন-এর মতো ট্রিগারিং এজেন্টের সংস্পর্শে আসার ফলে তীব্র পেশী সংকোচন হয়, যা বিপাকীয় হারকে আকাশচুম্বী করে তোলে। এর ফলে ঘটে:
অক্সিজেন বঞ্চনা।
অতিরিক্ত তাপ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড জমা হওয়া।
মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস।
কোষ ঝিল্লি ফেটে যাওয়া।
রক্তসংবহনতন্ত্রের পতন।
চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যু।
কারা ঝুঁকিতে আছেন?
অ্যানেস্থেসিয়ার সময় পূর্বের MH পর্ব সহ ব্যক্তিরা।
মাসকুলার ডিস্ট্রফি বা মায়োপ্যাথি-এর মতো পেশীজনিত ব্যাধিযুক্ত রোগীরা।
যাদের MH এর পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে।
MH এর লক্ষণ
তীব্র, সারা শরীরে পেশী কঠোরতা বা খিঁচুনি।
দ্রুত জ্বর বৃদ্ধি (১০৪°ফা / ৪০°সে এর উপরে)।
লালচে ত্বক, প্রচুর ঘাম।
দ্রুত, অগভীর শ্বাস-প্রশ্বাস; সায়ানোসিস (নীলাভ ত্বক)।
টাকিকার্ডিয়া বা অ্যারিথমিয়া।
গাঢ়, কোলা-রঙের প্রস্রাব (র্যাবডোমায়োলাইসিস)।
নিম্ন রক্তচাপ, শক, বহু-অঙ্গ ব্যর্থতা।
MH এর চিকিৎসা কিভাবে করা হয়?
তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ: সমস্ত ট্রিগারিং অ্যানেস্থেটিক এবং সার্জারি বন্ধ করুন।
পেশী শিথিল করতে এবং ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বন্ধ করতে ড্যান্ট্রোলিন সোডিয়াম (IV) প্রয়োগ করুন।
সহায়ক যত্ন:
দ্রুত শীতলীকরণ (আইস প্যাক, IV ফ্লুইড)।
সোডিয়াম বাইকার্বোনেট দিয়ে অ্যাসিডোসিস সংশোধন করুন।
ইলেক্ট্রোলাইট পুনরুদ্ধার করুন (ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম)।
অ্যারিথমিয়া চিকিৎসা করুন।
কিডনি ব্যর্থতার জন্য ডায়ালাইসিস।
MH প্রতিরোধ করা যায় কি?
যদিও MH সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা যায় না, তবে ঝুঁকি কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
যদি আপনার বা আপনার পরিবারের সদস্যদের MH ইতিহাস বা পেশীজনিত ব্যাধি থাকে তবে আপনার অ্যানেস্থেসিওলজিস্টকে জানান।
ট্রিগারিং এজেন্ট পরিহার করুন: নন-ট্রিগারিং অ্যানেস্থেটিক ব্যবহার করুন (যেমন, প্রোপোফল, লোকাল/রিজিওনাল অ্যানেস্থেসিয়া)।
ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলির জন্য জেনেটিক টেস্টিং।
উপসংহার
MH একটি চিকিৎসা জরুরি অবস্থা যার দ্রুত স্বীকৃতি এবং চিকিৎসা প্রয়োজন। সচেতনতা এবং প্রাক-অপারেটিভ ঝুঁকি মূল্যায়ন জীবন বাঁচায়।